ঈদকে কেন্দ্র করে বরিশালে জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। গরমের কারনে এবার সকল শ্রেনীর ক্রেতারা ঝুকঁছেন সুতি কাপরের পোশাকের দিকে। তবে ব্র্যান্ড শপের শো–রুম গুলোতেও বেশি ভীর করছে তরুন–তরুনীরা। নতুন পোশাকটি সবার চেয়ে যেন আলাদা হয় সেদিকেই বেশি ঝোঁক তাদের।
নগরীর প্রতিটি ব্রান্ডশপ থেকে শুর করে বিভিন্ন গার্মেন্টসের দোকানগুলো ঘুরে দেখছেন তরুন তরুনীসহ সকল বয়সী ক্রেতারা। এ কারনে বরিশালের পোশাকের বাজারে এখন উপচে পরা ভীর। নগরীর ১৫টি বৃহৎ মার্কেট ও শতাধিক পোশাকের শোরুমে উপচে পরা ভীর। মানসম্পন্ন এবং আধুনিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে নগরীর সকল বয়সের ক্রেতারা পোশাক ক্রয় করছেণ। মূল্য বেশী হলেও গুনগত মান ভালো বলে ব্রান্ডশপগুলো রয়েছে ক্রেতাদের পছন্দের প্রথম তালিকায়। সেখানে সূতী কাপরের পোশাকের বেশি চাহিদা রয়েছে। তবে পোশাকভেদে গত বছরের তুলনায় এবার ৭/৮ শত কাটা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিক্রেতারা জানান “সারারা ঘারারা” নারীদের পোশাক এবারের মূল আকর্ষণ। ছেলেদের বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবী ও শার্টের চাািহদা রয়েছে। মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে দেশী বিদেশী ফ্লোর টাচ , গাউন, কামিজ, লং থ্রি–পিস, । মহিলারা কিনছেন কাথান সিল্ক ও টিসু কাতান। আর শিশুদের জন্য কেনা হচ্ছে টপস, স্কার্ড, বয়েজ গেঞ্জি, ও কোটি শার্ট। ১২শ টাকা থেকে ছেলেদের পাঞ্জাবী ও শার্ট পাওয়া যাচ্ছে। ৫০০ টাকা থেকে ৭/৮ হাজার টাকায় মেয়েদের পোষাক এবং ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যমানের শাড়ী বেশী বিক্রি হচ্ছে। স্বল্প লাভ রেখে পোশাকের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে আর এতে করে স্বাচ্ছন্দে সর্বস্তরের ক্রেতারা কেনাকাটা করতে পারবেন এমন দাবি বিক্রেতাদের।
ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাকে পুজি করে নয়, সেবার বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা পোশাকের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখবে এমনটা প্রত্যাশা নগরবাসীর।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ