কয়েকদিনের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নিজের শহর মাশহাদে ইমাম আলী আল–রেজার মাজারে সমাহিত করা হয় রাইসিকে।
ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে বিমানে করে মাশহাদের নেজাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাইসির মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাকে শেষ বিদায় জানাতে বহু মানুষ জড়ো হন।
পরে শোকগ্রস্ত মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে সুসজ্জিত একটি ট্রাকে করে তার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ইমাম রেজার মাজারে। সোনার গম্বুজ বিশিষ্ট ইমাম রেজা মাজারেই দাফন করা হয়েছে রাইসিকে।
রাজধানী তেহরান থেকে ৯০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ইরানের পবিত্রতম শহর মাশহাদেই নবম শতাব্দীতে শায়িত হয়েছিলেন ইমাম আলী আল–রেজা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাহিত করার আগে জন্মস্থান মাশহাদে রাইসির জানাজা পড়ানো হয়। একই সময়ে ইমাম রেজার পবিত্র মাজারে প্রেসিডেন্ট রাইসির কবরস্থান প্রস্তুত করা হয়। এরপর সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়।
বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসি ও তার সঙ্গীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
গত শনিবার (১৮ মে) একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। রবিবার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন তিনি। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল–২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।