কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি হুমকি দিচ্ছে ১৮ তারিখের আন্দোলনে চুড়ান্ত ঘোষনা দিবে তারা। দেশকে অচল করে দেবে। ঢাকা থেকে দেশকে বিচ্ছিন্ন করবে। চরমভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের শক্তি হলো জনগন। আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় নানা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের মূল শক্তি হলো জনগন। জনগন সবসময় আমাদের সাথে ছিল। ২০০৬ সালেও বিএনপি ষড়যন্ত্র করেছিল।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিন বলেন, আমি সমঝোতার কোন সুযোগ দেখি না। দরজা খোলা। বিএনপি আসতে চাইলেই আসতে পারবে। আমার ধীর বিশ্বাস এখনো সময় আছে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা নির্বাচনে আসবে। তবে এইটুকু বলতে চাই যে আন্দোলন করে সরকারের পদত্যাগ ঘটাবে, তাদের দাবি আদায় করবে এটি তারা কোন ক্রমেই করতে পারবে না।
মন্ত্রি বলেন, ১/১১ এর সময় জনগনের সমর্থনের কারনেই সামরিক বাহিনী সেদিন সরকার পরিবর্তন করে সরকার গঠনের নির্বাচন করার সৃষ্টি করে দিয়েছিল। কাজেই আমরা বলছি জনগন আমাদের মূল শক্তি। জনগনকে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে পারি কোন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, কোন দেশিয় ষড়যন্ত্র কোন ক্রমেই সম্ভব নয়। অতীতেও হয়নাই, আগামী দিনেই হবে না। সাময়ীক বিপর্যয় আমাদের হয়েছে কিন্তু চৃড়ান্তভাবে জনগনকে নিয়ে আমরা বিজয়ী হয়েছি। বাংলাদেশে এমন কোন গ্রাম নেই, এমন কোন পাড়া নেই যে যেখানে আওয়ামী লীগের কর্মী নেই। বিদেশীরাও এটা মর্মে মর্মে উপলপদ্ধি করে যে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাচুত্য করা যাবে সাময়ীক। কিন্তু পরবর্তীতে এটার চরম মূল্য তাদের দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সেই শক্তি আছে। আওয়ামী লীগ ঘুরে দাড়াতে পারে। কাজেই এটি সহজ না। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শামছুল হকের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, মানবসম্পদক সম্পাদক শামছুন নাহার চাপা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এসময় জেলার সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ