শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে বার্ন ইনস্টিউটে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৬৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন, তারা অনেকে চলে গেছেন আবার হয়তো ফলোআপে আসবেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে ১৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গেলে সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন একজনের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় এখানে আর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো হবে। আমরা রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা তো বুঝতে পারছেন, এখানে চিকিৎসার ব্যাপারে অনেক ব্যয় ছিল, সেগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এই চিকিৎসার টাকা নেবে না বলে আমাদের জানিয়েছেন। দেশের বাইরে আমাদের তাকে পাঠানোর আলোচনা চলছে, তবে কোন দেশে পাঠানো হবে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন কয়েকদিন আগে চীনের একটি চিকিৎসক দল বাংলাদেশে এসেছিল, তাদের কয়েকজনের ব্যাপারে অবজারভেশন ছিল, তারা আবার সেটি চীনে গিয়ে আমাদের জানাবে। চীনের চিকিৎসক দল জানিয়েছে, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা তাদের ভালোমানের চিকিৎসা দিয়েছে। নেপালের ৩ সদস্যের একটি চক্ষু চিকিৎসক দল আমাদের দেশে আছে।

আন্দোলনে আহত অনেকে চিকিৎসার টাকা পাচ্ছে না বলে অভিযোগে আসছেএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এই কথা ঠিক নয়। আমরা ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছি অর্থাৎ সরকার বলেছে আপাতত সব চিকিৎসার ব‍্যয় সরকার নেবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সব হাসপাতাল থেকে তালিকা নিয়ে সেই অনুযায়ী আহত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করুন, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কারো কোনো টাকা পয়সা দিতে হয়েছে কি না। আমাদের কাছে এমন কোনো কমপ্লেইন নেই, যদি কোনো কমপ্লেইন থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ডেঙ্গু প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি এবং কয়েক দফা বৈঠক করেছি। এখানে দুইটি বিষয় আছে, একটি হচ্ছে চিকিৎসা সেবা দেওয়া, আরেকটি হচ্ছে সচেতনতা। কুর্মিটোলা হাসপাতাল, ডিএনসিসি হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং এখানে অতিরিক্ত চিকিৎসকও দেওয়া হয়েছে। এখানে কয়েকটি টিম করে দেওয়া হয়েছে। জনগণ যদি সচেতন হয় তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 

সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More