বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৪

ছাত্রীদের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে না দেয়ায় কলেজছাত্রকে নির্যাতন!

ভিডিও ভাইরালের পর মামলা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ফেনীর দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। ছাত্রীদের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে না দেওয়ায় কলেজছাত্র মেহেদী হাসানকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে মামলা করা হয়।

রবিবার (৪ জুন) এ ঘটনায় রাতে দাগনভূঞা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা। খবর পেয়ে সোনাগাজী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তসলিম হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের তৃতীয় তলার স্কাউট কক্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানকে ডেকে নেয়। সেখানে একটি চেয়ারে বসিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি, লাথি, চড়থাপ্পড দিয়ে সিগারেটের আগুন দিয়ে আঙ্গুলে ছ্যাকা দেয়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যার হুমকি দিয়ে পকেটে থাকা ১ হাজার ১শ টাকা নিয়ে যায়। ঘটনাটি কলেজের কয়েকজন ছাত্র টের পেয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ঘটনাটি নিয়ে মুখ না খুলতে হুমকিধমকি দেয়। ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় মমতাজ বেগম বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দেন।

মামলার বাদি মমতাজ বেগম জানান, মেহেদীর কাছে বেশ কিছুদিন ধরে একাদশ শ্রেণির মেয়েদের নাম্বার চেয়েছে তারা। নাম্বার না দেয়ায় তাকে এমন নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের পর দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

ইকবাল মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনজুরুল হক বলেন, ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ কলেজ পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

 

আবদুল্লাহ আল-মামুন/আফ/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More