রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ কর্তৃক ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে বিচার দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে তারা এ নিন্দা জানান।
সোমবার(১১ আগস্ট) ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনায় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বৈঠক শেষ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যুগে যুগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করেছে।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ যে দায়িত্বশীলতা ও সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে, এর ওপরই ভিত্তি করে বলতে পারি ছাত্রলীগ এ বিষয়ে একটি নিয়মতান্ত্রিক সুস্পষ্ট সমাধান পাবে।
এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা মামলা দায়ের করবে কিন্তু ছাত্রলীগ নিষেধ করছে? জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, দাবিটি মিথ্যা।
পুলিশের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে–জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, তারা এ বিষয়ে বিব্রতবোধ করছেন।
এরপর জানতে চাওয়া হয় ছাত্রদলের বিবৃতির বিষয়ে কি বলবেন? জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, তাদের (ছাত্রদলের) ফাঁদে ছাত্রলীগ পা দেবে না।
প্রসঙ্গত, এডিসি হারুন শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।
নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়।
পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শায়লা/দীপ্ত নিউজ