বুধবার, অক্টোবর ১, ২০২৫
বুধবার, অক্টোবর ১, ২০২৫

ছয় মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৭৮ কোটি ডলার

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

চলতি ২০২৪২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় এক হাজার ৩৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার।

এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৬৬৫ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে রংপুর বিভাগের প্রবাসীদের পক্ষ থেকে, যেখানে প্রায় ২২ কোটি ১০ লাখ ডলার পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮১ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

অন্যান্য বিভাগের মধ্যে সিলেট বিভাগে ১২৪ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৬৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৫০ কোটি ৪২ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৩৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

ডিসেম্বরে দেশে সর্বোচ্চ ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের রেকর্ড। ডিসেম্বরে প্রবাসীরা বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যার মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭২ কোটি ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ডলার।

ডিসেম্বরে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৩০ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ৭২ কোটি ১৬ লাখ ডলার, সিলেট বিভাগে ২১ কোটি ৮২ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ১২ কোটি ৪২ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার এবং রংপুর বিভাগে ৪ কোটি ৩৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

গত বছর জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় ছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল। তবে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে রেমিট্যান্স প্রবাহ পুনরায় বৃদ্ধি পায়। আগস্ট মাসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে, এবং সেপ্টেম্বরে তা আরও বাড়ে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলারে।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More