পুরান ঢাকার চুরিহাট্টার অগ্নিকাণ্ড ঘটনার চার বছর পর অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। আগামী ১৪ মার্চ থেকে শুরু হবে সাক্ষ্যগ্রহণ। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ব্যবসায়ী জীবিকার তাগিদে দেশ ছেড়েছেন। তবে পুরান ঢাকায় দাহ্য পদার্থ মজুদের কারণে এখনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
২০১৯ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে পুরান ঢাকার চুরিহাট্টায় ভয়াবহ আগুনে মারা যায় ৭১ জন। এঘটনায় এক ব্যবসায়ীর করা মামলার তদন্ত শেষে চকবাজার থানা পুলিশ ওয়াহিদ ম্যানসনের দুই মালিকসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে। সাক্ষী করা হয়েছে ১৬৭ জনকে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, এরইমধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে। শুনানি শুরু হবে মার্চে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আগুনে সম্পদের ক্ষতি বিশ কোটি টাকার বেশি। ব্যাংক ঋণ নেয়া অনেক ব্যবসায়ী দেশ ছেড়েছেন জীবিকার তাগিদে। ভয়াবহ আগুনের চার বছর পরও চুরিহাট্টার ওয়াহিদ ম্যানসন ও তার আশপাশে অবাধে কেনা বেচা হচ্ছে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ। তাই যেকোন মুহূর্তে আবারও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
চুরিহাট্টায় আগুনের পর আবাসিক এলাকায় দাহ্য বস্তুর বিষয়ে ট্রেড লাইলেন্স দেয়া বন্ধ রেখেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ