চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলতদিয়াড়ে অঞ্জলি রানী বিশ্বাস (৫৫) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিনপাড়ার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অঞ্জলি রানী দৌলতদিয়াড় দক্ষিনপাড়ার নরসুন্দর গণেশ পরমানিকের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী গণেশ প্রামাণিক বলেন, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ এবং আমি বাড়িতে না থাকলে সে একাই বাড়িতে থাকে। আমার স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে অঞ্জলীর ভাইয়ের মেয়ে ঐশিকে বাড়িতে আসতে বলি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জমি বিক্রি করবো বলে একজনের কাছ থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বায়না নিয়েছি। এর মধ্যে অঞ্জলীর চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা খরচ করি। বাকি টাকা এবং অঞ্জলীর স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া কানের দুল ও নাকফুল ঘরের মধ্যে একটি আলমারিতে রাখা ছিল। আলমারির তালা ভেঙে সেগুলো সব লুট করে নিয়ে গেছে।’
নিহত অঞ্জলী রানী বিশ্বাসের ভাইয়ের মেয়ে ঐশি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে পিসিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে আসি। অনেকক্ষণ গেইট ধাক্কানোর পর ভেতর থেকে কোনো শব্দ না পেয়ে ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে ভেতরে উঁকি দিই। এসময় ঘরের ভেতর রক্ত দেখতে পাই এবং পিসিকে ঘরের মেছেতে পড়ে থাকতে দেখি। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় পাচিল টপকে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করি এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। অঞ্জলী রানী বিশ্বাসকে ধারালো কিছু দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সোনালি রঙের একটি ব্রেসলেট উদ্ধার করা হয়েছে।’
এসএ