চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবসতির দেশ এখন ভারত। আগামী তিন মাসের মধ্যে তথা চলতি বছরের মাঝামাঝি দেশটির জনসংখ্যা চীনের চেয়ে প্রায় ২৯ লাখ বেশি হবে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) এক রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখেরও বেশি। দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে জনবহুল দেশের রেকর্ড ধরে রাখা চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ।
১৯৫০ সাল থেকে জাতিসংঘ সবচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকা তৈরি করছে। এই তালিকায় এবারই প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে এসেছে ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ ভারত। ৩৪ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতে অবশ্য জনসংখ্যার সাম্প্রতিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। দেশটি সবশেষ জনশুমারি চালিয়েছিল ২০১১ সালে। এক দশকের মাথায় ২০২১ সালে তাদের আবারও জনশুমারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইউএনএফপিএ’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের বর্তমান জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বয়সই এখন ০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এছাড়া ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের নাগরিক জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ। ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সের মানুষের সংখ্যা ২৬ শতাংশ, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ ৬৫ বছরের ওপরে।
রিপোর্ট মতে, ভারতের তুলনায় চীনা নাগরিকদের গড় বয়স অনেকটা বেশি। চীনে গড়ে নারীরা বাঁচেন ৮২ বছর আর পুরুষরা বাঁচেন ৭৬ বছর। আর ভারতে গড়ে নারীরা বাঁচেন ৭৪ বছর এবং পুরুষরা বাঁচেন ৭১ বছর।
ভারতের জনসংখ্যার সিংহভাগ যুব সম্প্রদায়ের হওয়ায় তা ভারতীয় অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিপরীতে চীনের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ বৃদ্ধ হওয়ায় তা দেশের অর্থনীতির ওপর বড় বোঝা বলে মনে করা হ্চ্ছে।
এমি/দীপ্ত