এক সপ্তাহ ধরে ভয়ে–আতঙ্কে দিন পার করেছিলো সাধারণ মানুষ। তবে আতঙ্ক কাটিয়ে ফের ধীরে ধীরে স্বাভাবিকও চির চেনা রুপে ফিরছে ফেনী।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে শহরের ট্রাংক রোড, ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মোড় ও মহিপাল এলাকা ঘুরে ও এসব এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশের ন্যায় ফেনীতেও আতঙ্ক উৎকণ্ঠা থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ও উল্লেখযোগ্য সহিংসতা বা হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী ইয়াসিন সবুজ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে যেকোন সময় সহিংসতা, গোলাগুলির আতঙ্কে দিন পার করেছি। এ পরিস্থিতি খুব কষ্টকর। এখনো সন্ধ্যার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। আমরা নির্ভয়ে ব্যবসা করতে চাই।
রামপুর এলাকার বাসিন্দা মো. শরিফ বলেন, এই কয়েকটা দিন খুব খারাপভাবে পার করেছি। আমরা সাধারণ মানুষ এসব সহিংসতা, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চাই না। আমাদের বসবাসের জন্য নিরাপদ পরিবেশ চাই।
শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, কয়েকদিন দোকান বন্ধ ছিল। আয় বন্ধ হলে খাবার জুটতে কষ্ট হয়ে যায়। দোকান খোলার পরেও সন্ধ্যায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম নামে এক রিকশাচালক বলেন, কারফিউতে রোডে তেমন যাত্রী ছিল না। রিকশা চালিয়ে ঠিকমতো মালিকের জমার টাকাও তুলতে পারিনি। তবে গত দুয়েকদিন ধরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তারপরও কখন কি হয়ে যায় ভয়ে থাকি।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে সারাদেশের মতো ফেনী জেলাতেও কারফিউ জারি করা হয়।
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনে শিথিল করে রাতে কারফিউর সিদ্ধান্ত নেন জেলা প্রশাসন। রবিবার (২৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ। এদিন রাত ৯টার পর থেকে আবার সোমবার সকাল ৬টার আগ পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
মামুন/ আল/ দীপ্ত সংবাদ