সাম্প্রতিক সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি জনজীবনে কষ্ট বাড়ালেও এটি সাময়িক সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. ওমর বোলাতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তবে এমন কোনো আলাদিনের চেরাগ নেই যে সুইচ চাপলেই বাজার রাতারাতি ঠিক হয়ে যাবে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।‘
তিনি জানান, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৬৩ শতাংশ থেকে মাত্র ৩ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমদানি শুরু হলেই যদি কোনো অসাধু ব্যবসায়ী চাল মজুদ করে রাখে, তাহলে তারা মজুদ ছাড়তে বাধ্য হবে। এর ফলে বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে।‘
অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীরা সাময়িকভাবে সুযোগ নিতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, এটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা নয়। সরকার সব পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।‘
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, দেশে চালের মজুদে কোনো সমস্যা নেই। তবুও খাদ্য মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান ও মায়ানমার থেকে কয়েক লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য স্বস্তি দিতে ওএমএস এবং টিসিবির কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।‘
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘সরকার বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে। তবে এটি করতে সময় লাগবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।‘