গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আম বাগানগুলো এখন ভরে উঠেছে মুকুলে। গেল কয়েক বছরে এ অঞ্চলের উঁচু নিচু জমিতে গড়ে উঠেছে আড়াই হাজারেরও বেশি ছোট বড় আম বাগান।
গতবারের মত এবারও বাম্পার ফলন আশা করছেন বাগান মালিকরা। তবে তাদের কিছুটা শঙ্কা রয়েছে পোকার আক্রমণ ও প্রতিকূল আবহাওয়া নিয়ে । ফল গবেষকরা মুকুলে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ ঠেকাতে বালাইনাশক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।
এখানে রয়েছে ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত ছাড়াও দুধসর, কালীভোগ, তোতাপরীসহ প্রায় দু’শোর বেশি জাতের আম। চলতি মৌসুমে তেমন একটা কুয়াশা না থাকায় প্রায় ৮০ ভাগ বাগানে মুকুল এসেছে। ভাল ফল পেতে এখন বাগান পরিচর্যার কাজে পুরোদমে ব্যস্ত মালিকরা।
বাগান মালিকরা বলেন, ‘একবার পোকা মাকড় দমন করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘৭০ থেকে ৮০ ভাগ মুকুল আসা গাছে আমরা সাইফারমেথিন গ্রুপ অথবা এমিডাক্লোপিড গ্রুপের ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি’।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ হাজার ২’শ ৬০ হেক্টর জমির বাগানে ২ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ