চাঁদপুর–২ (মতলব উত্তর–দক্ষিণ) আসনের নৌকা সমর্থিত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার (বীরবিক্রম) অনুসারীদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের ১৫ নেতা–কর্মী আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মতলব উত্তরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করেন।
তিনি জানান, তার নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণার পর থেকেই তার লোকজনের উপর হুমকি–ধমকিসহ মারধর করে আসছিলেন মায়া চৌধুরীর লোকজন। এনিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও থামেনি হামলা ও নির্যাতন। গতকাল ও আজ নেতা–কর্মীরা তার বাসায় আসার পথে নৌকা প্রার্থী মায়া চৌধুরীর লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি ফাহিম, মতলব উত্তর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তামিম, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হাসান শান্ত, আরাফাত হোসেন নিপু, রিহান, তাহসিন, মুরাদ ও শান্ত সরকারসহ ১৫–২০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে খবর পেয়ে হামলার ঘটনার পরপর মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে সোবহান সরকার শুভা, মেহেদী হাসান কাজল, কামরুল, খোরশেদ আলম অপু, হোসেন প্রমানিক, বাবু প্রমানিকসহ ২৫–৩০ জন এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ইসফাক আহসান বলেন, নেতা কর্মীদের উপর এমন হামলা ঘটনা সাধারণ ভোটাররা সন্ত্রস্ত। এভাবে চলতে থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আজকের ঘটনায় আমি আবারো লিখিত অভিযোগ জানাবো কর্তৃপক্ষের কাছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে সকলের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে গত ৪ ডিসেম্বর ব্যাখ্যা চায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম। এর প্রেক্ষিতে মায়ার পক্ষের আইনজীবী লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি দিলেন আ.লীগ নেতা
ঘটনার সত্যতা জানিয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদ মোবারক বলেন, এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইব্রাহীম/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ