চলতি বছর ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৩ জন। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ গুণ বেশি। আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি বলছে, এ বছর মশা নিধনের কার্যক্রম জােরদার করায় ডেঙ্গু রোগী কমবে। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত বছরের মত এবার স্যালাইন সংকট হবে না।
দেশে এখন শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা কোন ঋতুতেই ডেঙ্গু থেকে মানুষ নিরাপদ নয়। যার প্রমাণ মেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে। সেখানে দেখা যায় জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন মারা গেছেন। যেখানে গত বছর একই সময় পর্যন্ত মৃত্যু হয় ৭ জনের।
এই সাড়ে তিনমাসে প্রায় দেড় হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। যেখানে গত বছর সংখ্যা ছিল ৯০৮ জন। তাই মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার না করলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ফের ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
গত কয়েক বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বসবাসকারীরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হন। এজন্য এ বছর আগে থেকেই মশা নিধন কার্যক্রম চালুর কথা জানিয়েছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
আগামী জুন থেকে রােগি বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৩ দিনের বেশি জ্বর হলে অবশ্যই ডেঙ্গুর পরীক্ষা এবং নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রােগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক শেখ দাউদ আদনান।
আল / দীপ্ত সংবাদ