দেশের অন্যতম বৃহৎ জনগোষ্ঠী চরবাসীকে পেছনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স (এনসিএ) এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের উদ্যোগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং চরবাসীর সামগ্রিক উন্নয়ন’ বিষয়ক এক অনলাইন সভায় বক্তারা একথা জানান।
অনলাইন সভায় বক্তারা বলেন, ‘দেশের অন্যতম বৃহৎ জনগোষ্ঠী চরবাসীকে পেছনে রেখে এসডিজি, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যসমূহ কোনোভাবেই শতভাগ অর্জন করা সম্ভব হবে না। এ কারণেই চরবসাসীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে চরে বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও বেসরকারি সেবাকে আরও সক্রিয় করতে হবে। চরের কৃষি, ভূমি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘চরে বসবাসরত প্রায় এককোটি মানুষ বিভিন্নভাবে উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য কমিয়ে এনে তাদের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটাতে হবে। এজন্য জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের গ্রহণযোগ্য কার্যকর (ইফেকটিভ) সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। চরের মানুষের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ ও তা বাস্তবায়নে সঠিক নির্দেশনা থাকতে হবে। চরের যুবসমাজকে যুগপোযোগী বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। চরের মানুষের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো (চর বোর্ড/ চর ফাউন্ডেশন) গঠন এবং জাতীয় চর নীতিমালা তৈরির বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
সভায় আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সেভ দ্যা চিলড্রেন-এর পরিচালক (প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি) রিফাত বিন সাত্তার, এসকেএস-এর পরিচালক (অ্যাডভোকেসি) জোসেফ হালদার, ওয়াটার এইড-এর অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট রঞ্জন কুমার ঘোষ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ কামালউদ্দিন, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. খাদেমুল রাশেদ প্রমুখ।
এনসিএ-এর সদস্য সচিব জাহিদ রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উন্নয়ন সমন্বয়ের জ্যেষ্ঠ প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শাহীন উল আলম, ধন্যবাদ জানান উন্নয়ন সমন্বয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. মাহবুব হাসান মাসুদ।
অনুষ্ঠানে চরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে কর্মরত উন্নয়ন সংগঠন ফ্রেন্ডশিপ, জিইউকে, কেকেএস, এসেডো, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আল/দীপ্ত