ছাত্রাবাসে অবৈধ প্রবেশ, কক্ষ দখল, মারধর, নিষিদ্ধ থাকার পরও রাজনীতিতে যুক্ত থাকাসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (চমেক) ৭৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। সর্বোচ্চ দুই বছর থেকে ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন বহিষ্কার আদেশে সই করেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তাসলিম উদ্দীন বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৪ জন ইন্টার্ন রয়েছেন। তাঁদের শাস্তি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে। ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চমেক একাডেমিক কাউন্সিল এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অনুমোদন করেছে।
শাস্তিপ্রাপ্তদের বেশির ভাগই সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত আ.লীগের ছাত্র–সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী ও সমর্থক। তাঁরা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে, গতকাল রবিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ৮৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
৮৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ৭ জনকে। ১৫ জনকে দেড় বছরের জন্য, ৩৯ জনকে এক বছরের জন্য, ১৪ জনের জন্য ৬ মাসের জন্য বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। ১১ জনের কাছ থেকে অভিভাবক ও নিজের মুচলেকা নেওয়া হবে।
এসএ