চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর হাসান হত্যাকান্ডের ১২ দিন পরেও মেলেনি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা মাথার অংশ। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা মাথার খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে পিবিআই।
পতালতক পুত্রবধূকে নিয়ে গত দুই দিন ধরে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে তন্নতন্ন করে অভিযান চালিয়েছে পিবিআই। যদিও ল্যাগেজ ভর্তি শরীরের ৮ টুকরা অংশ উদ্ধার করা হয় আগেই। গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িত হাসানের ছেলে এবং স্ত্রীকে।
চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ১২ দিন পর শরীরের খন্ডিত মাথার খোঁজে মাঠে নামে পিবিআই। দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার ভোর থেকেই চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পালাতক ছেলে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আনারকলিকে নিয়ে অভিযান চালায়। সৈকতের পাথরে ফাঁকে চলে শরীর বিচ্ছিন্ন করা মাথার খোঁজ। যেখানে ছেলেরা নৃশংসভাবে বাবাকে হত্যার পর পুত্রবধূ নিজেই শ্বশুরের খন্ডিল মাথা বস্তা মুড়িয়ে স্বামীর সাথে ফেলে দেয় সমুদ্রে। পিবিআই বলছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের লাশের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর নগরীর ইপিজেডের আকমল আলী রোডে ল্যাগেজ থেকে হাসানের শরীরের খন্ডিত ৮ টুকরা উদ্ধার করে পিবিআই। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে লোমহর্ষক হত্যাকান্ডে জড়িত মা ছেনোয়ারা ও ছেলে মোস্তফিজুর রহমানকে আটক করে পিবিআই। আরেক ছেলে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী পলাতক থাকলেও মহেশখালী থেকে স্ত্রীকে গ্রেফতার করে মাথার খোঁজে আবারও অভিযান।
রুনা আনসারী/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ