চিটাগং কিংসকে হারিয়ে ১৬ বল হাতে রেখে প্রথম দল হিসেবে বিপিএল ফাইনালের টিকিট কাটল ফরচুন বরিশাল।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস হেরে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম।
৪ রানে প্রথম, ১৪ রানে দ্বিতীয়, ২৪ রানে তৃতীয় ও ৩৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় তারা। একে একে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার খাজা নাফি (৪), তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক (৬), চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন (১) ও মিডলের পাকিস্তানি ব্যাটার হায়দার আলী (৭)।
ওই বিপর্যয় থেকে জুটি গড়েন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দুই সতীর্থ পারভেজ ইমন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তারা পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৭৭ রানের জুটি গড়েন। তবে ওপেনার পারভেজ ৩৬ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান।
শামীম পাটোয়ারি এক প্রান্তে লোয়ারের খালেদ আহমেদকে রেখে তবু লড়ছিলেন। তিনি ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে ১৯তম ওভারে ফেরেন। ১৯তম ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে ৩২ বছর বয়সী পাকিস্তানি পেসার আলী খান চট্টগ্রামের রানের চাকা পুরোপুরি আটকে দেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে চিটাগাং।
১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীরে শুরু করে বরিশাল। ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ৮.৪ ওভারে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি দেন। ২৬ বলে ২৯ রান করে তামিম আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর আর কোনও বিপর্যয় ঘটেনি। দাউইদ মালানকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন তাওহীদ হৃদয়। ১৭.২ ওভারে ৯ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে ফরচুন বরিশাল। ৫৬ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন তাওহীদ হৃদয়। অপর প্রান্তে ২২ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন দাউইদ মালান।
হৃদয় দারুণ ইনিংস খেললেও ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলী।
এসএ