ঘূর্ণিঝড় মোখা পূর্ববর্তী প্রস্তুতি হিসেবে করনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঝালকাঠিতে প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘূর্ণিঝড় মোখা এর প্রভাবে ঝালকাঠিতে শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে আকাশ মেঘলা রয়েছে।
উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পরিকল্পানায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় জন্য খাদ্য গুদামে প্রয়োজনীয় খাবার মজুদ রয়েছে এবং আরো খাবারসহ ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিও প্রতিনিধিদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. খান সাইফুল্লাহ পনিরসহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় জেলায় ৬২টি আশ্রয় কেন্দ্র, ১৬০ জন সেচ্ছাসেবক, ৩৮টি মেডিকেল টিম, ৩৬৫ মেক্টিকটন জিআর চাল, নগদ ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানানো প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২৪৭৮৮৭৫২৩৩ ও ০১৯২৫১৬২৬২১। এছাড়া কৃষি অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক বোরো ধান সহ পরিপক্ক সকল ফসল তোলার নির্দেশনা মোতাবেক কৃষকরা কৃষি পণ্য নিরাপদ স্থানে তুলে নিচ্ছে।
অন্যদিকে, জেলার নলছিটি উপজেলায় বসবাসকারিরা পড়েছে কিছুটা বিপাকে, নদীবেষ্টিত এ উপজেলার মানুষের ঝালকাঠির সদরে যেতে হয় ট্রলারে করে।
দীর্ঘদিনের নলছিটিবাসীর দাবি, সুগন্ধা নদীতে সেতু নির্মাণের তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় জেলা শহরের যাওয়ায় একমাত্র উপায় হচ্ছে ট্রলার, তাই যে কোন ঘূর্ণিঝড় এলেই নদীতে ট্রলার না চলাচল করলে ঝালকাঠির সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নলছিটি উপজেলা। এতে বিপাকে পরে ওই উপজেলার বসবাসরত মানুষরা।
আফ/দীপ্ত সংবাদ