ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বরিশাল নৌ বন্দর থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ক্ষতি এড়াতে বন্দরের নিরাপদ স্থানে নোঙ্গর করে রাখা হচ্ছে নৌজান। এর পাশাপাশি বরিশাল–ভোলা রুটের স্প্রিড বোর্ড চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় দূভোগে পরেছেন এসব রুটে যাতায়াত করা যাত্রীরা।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরের পর থেকে জেলার নদনদীর পানি কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে, দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বরিশাল নদীবন্দরে ৪ নং সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে। সেখান থেকে জানানো হয়েছে বরিশালে ৫৪১ টি আশ্রয় কেন্দ্র তারা প্রস্তুত রেখেছেন। এর পাশাপাশি প্রার্থমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি ৫ লক্ষ টাকা, ৯৩ মেক্ট্রিকটন চাল ও ৯৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দূর্যোগ প্রস্তুতি কমিটি সিপিপি, স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন নদীপাড়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।
মর্তুজা / আল / দীপ্ত সংবাদ