মঙ্গলবার, নভেম্বর ৪, ২০২৫
মঙ্গলবার, নভেম্বর ৪, ২০২৫

গ্যাস সংযোগ জালিয়াতি: সাবেক মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

জালিয়াতির মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ দেয়ার এক মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চূড়ান্ত প্রতিবেদন নাকচ করে মামলার বাদী সম্প্রতি চাকরি হারানো দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের প্রতিবেদন আমলে নিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে, কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক ও বর্তমান চার কর্মকর্তাসহ সানোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলের মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুননেসা এ আদেশ দেন।

সাবেক মন্ত্রিপুত্র মুজিবুর রহমান ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, দক্ষিণ জোনের সাবেক টেকনিশিয়ান (সার্ভেয়ার) মো. দিদারুল আলম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও সাবেক ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান।

দুদক সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১০ জুন দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। পরে শরীফকে চাকরিচ্যুত করে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা এম এ সালামের নামে বরাদ্দ করা ১৮টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলার গ্যাসসংযোগ ছিল। এর মধ্যে ১২টি নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকার গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়। এ কাজে সালামের স্ত্রীর নামে ভুয়া চুক্তিনামাও করা হয়। সালাম ও মুজিবুরের গ্রাহক সংকেত পৃথক হওয়ায় সংযোগ স্থানান্তরের কোনো আইনগত বৈধতা নেই। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাসসংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে মুজিবুরের নামে আরও ১০টি সংযোগ দেওয়া হয়।

মামলা হওয়ার তিন দিন পর ২০২১ সালের ১৩ জুন অবৈধ ২২টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কেজিডিসিএল। কেজিডিসিএলের তিন কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন।

আফ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More