গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে ইয়াসিন শেখ (৩৫) নামে একজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ভোরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সামনের বি এম কে প্রাইভেট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদ মাসুদ জানান, সোমবার (২০ মার্চ) রাতে লতিফপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীর বাজার এলাকার চরমানিকদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যায় সাবু মোল্লাকে মেম্বার ঘোষণা করে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে আইন–শৃংখলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেলা সদরে ফিরছিলেন। এ সময় পরাজিত তিন প্রার্থী মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজী এবং তাদের সমর্থকেরা নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এতে আইন–শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। সংঘর্ষের সময় সদরের সহকারী কমিশনার এবং ওসির গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়।
সদর থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) গণেশ বিশ্বাস বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার দায়ে অজ্ঞাত ৪–৫’শ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আফ/দীপ্ত সংবাদ