নওগাঁর রাণীনগরের একডালা ইউনিয়নের একমাত্র হাট গুয়াতা হাট। হাটের পরিসর খুব একটা বড় না হলেও হাটটি স্থানীয়দের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ন। প্রতিবছর সরকার এই হাট থেকে হাজার হাজার টাকা রাজস্ব হিসেবে আয় করলে হাটে স্পর্শ করেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। প্রায় এক বছর আগে ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া হাটের শেড মেরামত না হওয়ায় বোঝা যায় হাটটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গুরুত্বহীন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ জানান, এলাকাবাসীদের কাছে হাটটি অনেক গুরুত্বপূর্ন। উপজেলার অন্যান্য হাট অনেক দূরবর্তি হওয়ার কারণে এলাকাবাসীরা সপ্তাহের বাজার এই গুয়াতা হাট থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। বছর খানেক আগে ঝড়ে হাটের শেডটি ভেঙ্গে যায়। যার ফলে হাটুরিদের নিরাপদ স্থানে দোকান বসানোর জায়গা না থাকায় অনেক সময় হাটুরিরা রাস্তায় এসে দোকান বসায়। যার ফলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় ক্রেতাসহ বিক্রেতাদের। এ অবস্থায় আমি শেডটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি। জানি না কবে হাটের শেডটি মেরামত হবে আর নিরাপদ স্থানে বসে বিক্রেতা ও ক্রেতারা তাদের পণ্য লেনদেন করতে পারবেন।
একডালা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান আলী বলেন আমি শেড নষ্ট হওয়ার পর থেকেই উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি। আর আমার ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোন তহবিল কিংবা বড় ধরনের আয় না থাকায় পরিষদের একার পক্ষে এই শেডটি মেরামত কিংবা সংস্কার করাও সম্ভব নয়। তাই এই জনগুরুত্বপূর্ণ শেডটি মেরামত কিংবা সংস্কার করার জন্য অবশ্যই সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দের কোন বিকল্প নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন আমি বিষয়টি জেনেছি কিন্তু অর্থ সংকুলান না হওয়ার কারণে শেডটি মেরামত কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুতই শেডটি মেরামত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ