গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় পৃথক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা চারটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত থেকে বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। এ সময় একজন চালক আহত হয়েছেন।
গাজীপুর:
গাজীপুরের বাসন, কাশিমপুর ও শ্রীপুরে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকার কালিয়াকৈর–নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় প্রথম ঘটনাটি ঘটে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসে মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবক পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় বাসের নিচে মেরামতের কাজ করছিলেন এক মিস্ত্রি, তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান।
এরপর ভোর ৪টার দিকে মহানগরীর ভোগড়া বাইপাসের পেয়ারা বাগান এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে একইভাবে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
পরে ভোর ৫টার দিকে শ্রীপুরের বেড়াইদের চালা এলাকায় আরেকটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে বাসটির ইঞ্জিন ও আসন পুড়ে যায়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, তিনটি ঘটনাতেই দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে এবং কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
আশুলিয়া:
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ভোর পৌনে ৫টার দিকে সরকার মার্কেট এলাকার নারী ও শিশু হাসপাতালের সামনে পার্কিং করা আলিফ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাসের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা চালক সাত্তার আহত হন।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে বাসের ভেতরের অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
বাসটির চালক সাত্তার বলেন, ‘হঠাৎ আগুন দেখে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে নামি। তখন দেখি চারজন লোক দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি চিৎকার করলে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।‘
পুলিশ বলছে, ঘটনাগুলো পরিকল্পিত নাশকতা। কারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।