দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী–কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ৯ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ.ক.ম মোজাম্মেল হক জরুন লক্ষী মার্কেট থেকে কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে জরুন থেকে কাশিমপুর হয়ে নরসিংহপুর পর্যন্ত সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম রহমান, কাউসার আহমেদ, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর বেনু বারেকসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ লাগবের জন্য তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, কয়েক বছর আগে সড়কটি ৬০ ফুট প্রশস্ত করে সংষ্কার কাজের জন্য প্রায় ১৭শ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। কিন্তু অধিগ্রহন জটিলতার কারণে কাজের অগ্রগতি ঝিমিয়ে পড়ে। দীর্ঘিদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। মানুষের দুর্ভোগ লাগবে আপাতত ২৪ ফিট প্রশস্ত ৭ কিলোমিটার এলাকায় আরসিসি এবং প্রায় দুই কিলোমিটার কার্পেটিং এর উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি ৬০ ফুট প্রশস্ত করণের জন্য জমি অধিগ্রহনের কার্যক্রমও চলবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৯০ টাকা ব্যায়ে তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর–কোনাবাড়ী আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে । সড়কটি বহু স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে থাকে হাঁটু পানি। এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পথচারীদের অনেকটা আতঙ্কের মধ্যেই চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে ভাঙ্গাচোরা এই সড়কে দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে গাড়ি উল্টে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। এতে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে জানমালের। এসব দিক বিবেচনায় এনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন দ্রুত সময়ের মধ্যে সংষ্কার কাজ শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সড়কটি যানবাহন চলাচল উপযোগী করার লক্ষে ৩টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে জনদুর্ভোগ লাগব করা যায়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুজ্জামান কিরণ জানান, ৬০ ফুট প্রশস্ত করে সড়কটি সংষ্কারের জন্য বরাদ্ধ পাওয়া গেলেও জমি অধিগ্রহন নিয়ে বেশ জটিলাতা সৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ থাকে। সিটির নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় এনে আপাতত সড়কটি সংস্কার কাজ ২৪ ফুট প্রশস্ত করে করা হচ্ছে। জমি অধিগ্রহন জটিলতা শেষ হলে ৬০ ফুট প্রশস্ত করে আবারও এ সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সড়কটি যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ায় আপাতত ২৪ ফুট প্রশস্ত করে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে জমি অধিগ্রহনের মাধ্যমে ৬০ ফুট করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ শুরু করবে। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের ঠিকাদদার প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের সহায়তা করারও আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া সড়কটি পাশে থাকা জমির মালিক ও ভবন মালিকদের জমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে মানষিকভাবে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ