বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২, ২০২৫

গাজা ফ্লোটিলায় ইসরাইলি হামলা, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরকে ইসরাইলি নৌবাহিনী আটক করায় বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। তুরস্ক এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

গাজার ত্রাণ বহনকারী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা স্থানীয় সময় বুধবার (১ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরাইলি নৌবাহিনীর বাধার মুখে পড়ে। বহরের অন্তত ১৩টি জাহাজ থামিয়ে তাতে উঠে পড়ে ইসরাইলি নৌ সেনারা। এই নৌবহরে থাকা দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে আটক করা হয়েছে এবং তাদের ইসরাইলের একটি নৌ বন্দরে নেয়া হয়েছে।

আটকদের মধ্যে আছেনসুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটককৃতদের নিরাপদে বন্দরে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের আলোকচিত্রী, শিল্পী ও সমাজকর্মী শহিদুল আলম ফেসবুক লাইভে জানান, ঐতিহাসিক মিশনটিতে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অংশ নিয়েছেন এবং ইসরাইলি হস্তক্ষেপের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করা বন্ধ করা হয়েছে।

ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নৌবহরে বাধা দেয়ার ঘটনাকে ‘অপহরণ’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। ব্রিটিশ লেবার পার্টির সাবেক নেতা এবং বর্তমানে ইয়োর পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ইতালির রাজধানী রোমে রাতেই হাজার হাজার মানুষ সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটির সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়ন শুক্রবার ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া জার্মানি, তুরস্ক, গ্রিস, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ এবং মানবাধিকার র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ায় সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ অভিযানে ৪৫টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান অংশগ্রহণ করেছে। নৌযানগুলোতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা, মানবাধিকার কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক। ফ্লোটিলার লক্ষ্য ছিল গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া।

নৌবহর আটকে দেয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিন্দা জানাচ্ছে। তুরস্কের সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে গণ্য করা যায়। অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠন এবং ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং মানবিক উদ্যোগকে বাধা দেয়া।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More