ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। গাজায় এরইমধ্যে নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৩শ ছাড়িয়েছে। এদিকে, ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (২২ অক্টোবর) ভোরে ফিলিস্তিনের জেনিনে একটি আশ্রয়শিবিরে আল–আনসার নামের মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, ওই স্থাপনার নিচে থাকা বাংকার ব্যবহার করে, হামলা চালাতো হামাস। গত কয়েক দিনের মধ্যে পশ্চিম তীরে এটি ওই বাহিনীর দ্বিতীয় হামলা।
গাজায় রাফা সীমান্ত দিয়ে একদিকে ত্রাণবাহী গাড়ি ঢুকছে। অন্যদিকে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, যা আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি। পাশাপাশি, উত্তর গাজার বাকি বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গাজায় সম্ভাব্য স্থল অভিযান চালানোর সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরইমধ্যে সীমান্তে জড়ো করা হয়েছে অসংখ্য ট্যাংক ও সেনা।
এদিকে, আল–আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার পেছনে ইসরায়েল ছিল না বলে দাবি করেছে কানাডার প্রতিরক্ষা বিভাগ। সংস্থাটি বলছে, গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেটের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করেছে, ওই হামলায় ইসরাইল জড়িত নয়।
ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লন্ডন, বার্মিংহাম, কার্ডিফ, বেলফাস্ট, সালফোর্ডসহ যুক্তরাজ্যজুড়ে শনিবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লার মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। হিজবুল্লাহর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে তেলআবিব।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলায় অন্তত ১৪শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
আল/ দীপ্ত সংবাদ