গাজায় ইসরায়েলি হামলার ৬১তম দিনে মারা গেছে অন্তত ৭৩ জন। এতে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
হামলার কারণে ত্রাণ পৌঁছাতে না পারায় গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
পুরো গাজায় স্থলঅভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের ট্যাংকের বহর পৌঁছেছে হামাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ঘাঁটি খান ইউনিস, জাবালিয়া এবং সেজাইয়ায়।
ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী হামাসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাড়ি ঘিরে ফেলার দাবি করেছে ইসরায়েল। এক ভিডিও বার্তায় এমনটি জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় হামলা শুরু করার পর সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার টনের বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ পেয়েছে তারা।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, গাজার দক্ষিণে ৬ লাখ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি হামলা তীব্রতর হওয়ায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেখানে মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লাখে দাঁড়িয়েছে।
বিরামহীন হামলার কারণে ত্রাণসহায়তাও পৌঁছানো যাচ্ছে না। এতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
গাজায় মানবিক বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা পরিষদকে জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ জারির আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
এই ধারায় বলা আছে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন বিষয়ে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
আরও পড়ুন: গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল
এসএ/দীপ্ত নিউজ