ইসরায়েলের একের পর এক বিমান হামলায় কাঁপছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। মরছে মানুষ, জ্বলছে বাড়িঘর। জীবন বাঁচাতে ছুটছে নিরস্ত্র বাসিন্দারা।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় হামাসের বিরুদ্ধে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে অন্তত ২৩০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের এক মেজর জেনারেল ও কয়েকজন সেনাসহ, অনেককে ধরে নিয়ে গেছে হামাস।
শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এই বোমা হামলায় এরইমধ্যে বিধ্বস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। হামাস যোদ্ধাদের রকেট হামলার জবাবে এই তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেলআবিব। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, গাজার বেশির ভাগ অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত সামরিক ও অন্যান্য স্থাপনা ধ্বংসের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করে, সব স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে তেলআবিব কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের এক মেজর জেনারেল, বেশ কয়েকজন সেনা সদস্যসহ অনেককে ধরে নিয়ে গেছে হামাস।
এদিকে, রবিবার (৮ অক্টোবর) লেবানন থেকে ইসরায়েলে মর্টার হামলা হয়েছে। জবাবে লেবাননেও আঘাত হেনেছে ইসরায়েল। যুদ্ধে না জড়াতে হেজবুল্লাহকে সতর্ক করেছে তেলআবিব।
হামাসের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বিরতিহীন আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “হামাসকে ধ্বংস করতে আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। যেসব জায়গায় এই সংগঠনের সদস্যরা রয়েছে, সবখানেই অভিযান চালাব। আমরা তাদের ধ্বংস করবই। গাজার বাসিন্দাদের বলছি– দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান“।
ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে তাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “ইসরায়েল নিজেকে এবং তার জনগণকে রক্ষার অধিকার রয়েছে। তাদের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন যেকোনো পরিস্থিতিতে অটুট থাকবে“
হামাসের নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে জানিয়েছে চীন।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষ যাতে কিছুতেই ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু না হয়, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খেয়াল রাখতে বলেছে সৌদি আরব। আর ইসরায়েল ও হামাসের প্রতি সংযমের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।
এসএ/দীপ্ত নিউজ