গাইবান্ধা সরকারি কলেজে সাড়ে ৫ বছর আগে নির্মিত ছাত্রাবাসটি এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। ফলে ছাত্রদের বাইরের মেসে গুণতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। কর্তৃপক্ষ বলছে, বারবার তাগিদ দেয়ার পরও বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না ছাত্রাবাস। তবে বাকী থাকা আংশিক কাজ শেষ করে দ্রুতই ছাত্রাবাস বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার।
কলেজ ক্যাম্পাসে শোভা পাচ্ছে পাঁচতলাবিশিষ্ট সুরম্য ছাত্রাবাস। ছাত্রদের দাবির মুখে ২০১৫ সালে ১০০ শয্যার ৫ তলাবিশিষ্ট ছাত্রাবাস নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজের দায়িত্ব পায় পঞ্চগড়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেখ ট্রেডার্স। ৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে ওই বছরের ৪ নভেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। পরে ২০১৭ সালের এপ্রিলে নির্দিষ্ট সময়ে নির্মাণের মূল কাজ শেষ করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাইবান্ধা প্রতিনিধি আনিছুর রহমান মিলু। তবে কাজ শেষ হওয়ার প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পার হলেও, এখনো ভবনটি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এর কারণে ছাত্রাবাসের ভিতরের কাঠের আসভাবপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে দীর্ঘদিনেও ছাত্রাবাস হস্তান্তর না করায় ছাত্রদের বাইরের মেসে গুণতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান জানান, ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও হস্তান্তর করা হচ্ছে না। ২০১৮ সালের ২৭ মে তৎকালীন গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ঠিকাদারকে চিঠি দিয়ে তাগিদ দেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
পঞ্চগড়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেখ ট্রেডার্সের প্রতিনিধি আনিছুর রহমান মিলু বলেন,আমাদের কাজ সব শেষ হয়েছে। তবে কবে নাগাদ ছাত্রাবাস হস্তান্তর করা হবে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না এখন।
এ দিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ জানান,করোনার সময় ঠিকাদারের লোকজন কাজ করতে পারেনি। তার পরেও চাপ দিয়ে আমরা কাজটি সম্পন্ন করেছি। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যেই ছাত্রাবাস বুঝিয়ে দিবে ঠিকাদার।
১৯৪৭ সালে ১৩ একর জমিতে গড়ে ওঠে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ। উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক পাস কোর্স, অনার্স ও মাস্টার্সে কলেজটিতে ১১ হাজারেও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে বলে কলেজ সূত্রে জানা যায়।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ