বেসরকারি গাইবান্ধা ক্লিনিকে সিজারের সময় রুমি বেগম নামে এক গৃহবধূর পেটে গজ রেখেই অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করা হলে স্বাস্থ্য বিভাগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
শনিবার (১৯ আগষ্ট) বিকেলে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন মো: আব্দুল্লাহেল মাফী। ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) একজন নারী কনসালটেন্টকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
রুমি বেগম গাইবান্ধা সদর উপজেলার পৌর শহরের পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ মেজবাহুল হকের স্ত্রী।
সিভিল সার্জন ও থানা পুলিশের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২৩ জুলাই গাইবান্ধা ক্লিনিকের স্বত্বাধীকারী ডা: মোঃ একরাম হোসেন, রুমি বেগম নামে এক গৃহবধূর সিজারিয়ান অপারেশন করেন। ৫ দিনের মাথায় গৃহবধূর নানা জটিলতায় শুরু ও অবস্থা খারাপ হলে তাকে গাইবান্ধা ক্লিনিকে সেই ডাক্তারের কাছে নেন তার পরিবার। রোগীর অবস্থা অবনতি হলে পরিবার ও পুলিশের তোপের মুখে গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর রেফার্ড করা হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা: একরাম হোসেন বলেন, তৃতীয় সিজার হওয়ার কারণে অপারেশনটি জটিল ছিল। সিজারের পর তার সমস্যার বিষয়টি জানার পর আমরা তার চিকিৎসা করতে চেয়েছি, কিন্তু তার স্বামী এখানে চিকিৎসা করতে রাজি না হওয়ায় তাকে রংপুর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেছি।
এদিকে বৃহস্পতিবার রংপুরের বেসরকারি নাজমা ক্লিনিকে অপারেশনের মাধ্যমে গৃহবধূর পেট থেকে ময়লা ও পচা অংশ অপসারণ করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগী এখনো শংকামুক্ত নয়।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা.আব্দুল্লাহেল মাফী জানান, এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ