সারাদেশে গরমের তীব্রতা বাড়ায় আবারও তিন দিনের (২২ এপ্রিল–২৫ এপ্রিল) হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গ্রীষ্মের উত্তাপে যখন শহরের বাসিন্দাদের হাঁসফাঁস অবস্থা তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কী করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন? তাই নিজের কাজ ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা জানিয়েছেন এক বছর আগে দায়িত্ব নেয়া চিফ হিট অফিসার।
অনুন্নত এলাকায় গরমের প্রকোপ বেশি জানিয়ে বুশরা বলেন, গত বছর আমরা শহরের অনুন্নত অন্তত ১৫ টি এলাকায় সবুজায়ন প্রোগ্রাম করেছি। যেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে সবুজায়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আমরা বুঝিয়েছি, নিজে ও পরিবারের সদস্যদের কীভাবে তীব্র গরম থেকে বাঁচাতে পারবো।
তিনি বলেন, কাজ শুরু করলে রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। আস্তে আস্তে এই পরিবর্তনের ফল পাওয়া যাবে। তবে পরিকল্পনা তিনি নিজে বাস্তবায়ন করতে না পারায় সময় বেশি লাগছে।
চিফ হিট অফিসার আরও বলেন, সবাইকে একসাথে নিয়ে হিট মোকাবেলা করবো, এটাই আমার কাজ। তবে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করছি না, আমাকে কাজ সিটি করপোরেশনের অধীনে কাজ করতে হচ্ছে।
উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষের বসবাস উল্লেখ করে বুশরা বলেন, শহর খুব দ্রুত বড়ো হচ্ছে। পরিস্থিতিও খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, হিট নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে এখানে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন।
তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে চিফ হিট অফিসার জানান, গরমে বেশি বেশি পানি পান ও শরীরের প্রতি নজর রাখতে হবে। যেহেতু এমন গরম আগে বাংলাদেশে ইতিহাসে হয়নি, তাই এই পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে আগের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
বিদ্যমান পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হবে, এমন প্রত্যাশা করা উচিত হবে না উল্লেখ করে বুশরা বলেন, মানুষকে সচেতন করতে একটি সহজভাষায় ছবি সম্বলিত বুকলেট প্রকাশের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তো বটেই, এশিয়ার কোন শহরের প্রথম চিফ হিট অফিসার হিসাবে নিয়োগ পান বুশরা আফরিন।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ