বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরকে বয়কট করলেন সাংবাদিকরা। রীতি অনুযায়ী অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রতিবছর বাজেটের পরদিন এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন।
শুক্রবার (৭ জুন) আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
সেখানে ব্যাংক খাতের তারল্য সঙ্কট, ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন এলেও গভর্নরকে বক্তব্য দিতে দেননি অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে সাংবাদিকদের পক্ষে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মত রেফায়েত উল্লাহ মীরধা অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রণয়ন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এ নিয়ে আমরা গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি। তবে তিনি কোনো সমাধান করেননি।
এ রকম অবস্থায় আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি গভর্নরের বক্তব্য শুনবো না। তিনি যেন এখানে কোনো বক্তব্য না দেন, সে বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে আর বক্তব্য দিতে দেননি অর্থমন্ত্রী। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ অন্যরা।
সংবাদ সম্মেলনের বেশির ভাগ সময় গভর্নরকে গালে হাত দিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়।
বাজেট বতক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগামী অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে, এখন যা ১৮ বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে যুক্তি দেয়া হয়েছে ‘ক্রলিগ পেগ’ চালুর ফলে ডলারের দর বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ বাড়বে।
এ বিষয় প্রশ্ন করা হলে অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ডলারের দর বৃদ্ধির পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা করা হয়েছে। এরই মধ্যে অফশোর ব্যাংকিংয়ে ডলার আশা শুরু হয়েছে। এসব কারণে আশা করা হচ্ছে রিজার্ভ বাড়বে।