ভারতের অযোধ্যায় খুলে দেওয়া হলো বহুল আলোচিত রাম মন্দির। ব্যাপক আয়োজনে দুপুরে এর উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সরকার এই মন্দির নিয়ে রাজনীতি করছে– অভিযোগ করে, অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি কংগ্রেস।
৩১ বছর আগে গুঁড়িয়ে দেওয়া প্রায় ৫শ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদের জায়গায়, রাষ্ট্রীয় মহাসমারোহে সোমবার উন্মুক্ত করা হলো রাম মন্দির। ক্ষমতাসীন বিজেপির দীর্ঘ ৫০ বছরের স্বপ্ন– অযোধ্যার এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পর শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। চলে টানা ৫০ মিনিট। এসময় সব আচার–অনুষ্ঠানে অংশ নেন মোদি। এ উপলক্ষ্যে অযোধ্যা রয়েছে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও, ড্রোনের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
বিজেপি সরকার রাম মন্দিরকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে– অভিযোগ তুলে, মোদির আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে র্যালি করেছেন। আর আসামে ভারত জোড়ো আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন , রজনীকান্ত , রানবির কাপুর , আলিয়া ভাট, শিল্পপতি ভারতী মিত্তাল ও অনিল আম্বানি, এবং ক্রিকেটার সচিন টেন্ডুলকারসহ অসংখ্য গণ্যমান্য ব্যক্তি।
বিবিসি জানিয়েছে, ৭০ একরের একটি কমপ্লেক্সের ৭ দশমিক ২ একর জায়গাজুড়ে তিন তলা এই মন্দির বানানো হয়েছে। এতে লোহা ও ইস্পাত একেবারেই নেই। ব্যবহার করা হয়েছে গোলাপি চুনাপাথর ও কালো গ্রানাইট পাথর। তৈরি করা হয়েছে ৪০০ কেজি ওজনের তালা। চাবির ওজন ১৫ কেজি।
রামলালার মূল মন্দির ছাড়াও, চত্বরের মধ্যে থাকবে আলাদা আরও কয়েকটি মন্দির। পুরো কমপ্লেক্সের ভেতরে রয়েছে ৪৪টি গেট।
মন্দিরের পুরো কাজ এখনো শেষ হয়নি। চলতি বছরের শেষ নাগাদ তা সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাধারণ দর্শনার্থীরা মঙ্গলবার থেকে সকাল–বিকাল নির্ধারিত সময়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে।
আল / দীপ্ত সংবাদ