ক্ষমতার পথ প্রশস্ত করতেই ভারতের সরাসরি ইন্ধনে পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলেন হাসিনা সরকার, বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ মেজর (অব) আব্দুল ওহাব মিনার।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা ট্রাজেডির ১৬ বছর পর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস‘ ঘোষণা উপলক্ষে বিকাল ৪টায় আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ মেজর (অব) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এবি পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, এবিএম খালিদ হাসানও যুবপার্টি আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, যশোর জেলা আহবায়ক জনাব ইয়ামিনুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে মেজর (অব) মিনার বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পিলখানা হত্যা ঘটানো হয়। ক্ষমতার পথ কে প্রশস্ত করতেই ভারতের সরাসরি ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটিয়েছিলেন হাসিনা সরকার। সেনা অপারেশন না চালানোই ছিলো সবচেয়ে দূর্ভাগ্যজনক।
সব ভালো অফিসারদেরকে পরিকল্পিতভাবে একত্র করে হত্যাকান্ড ঘটনা ঘটানো হয়। অপারেশন ডেভিড হান্ট চালাকালীন সময়েও কেন সন্ত্রাসীরা বাহিরে সেনাপ্রধানের কাছে এমন প্রশ্নও করেন মেজর (অব) মিনার।
ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব) দিদার বলেন, পিলখানার যে ঘটনা প্রচার করা হয় সেটি আসলে বাস্তবচিত্র নয়, বাস্তবচিত্র ছিলো আরও ভয়ংকর। ডাল– ভাত কর্মসূচি প্রচারণা ছিলো নামমাত্র। এটি ছিলো বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের ষড়যন্ত্রের ফল। সেনা অফিসারদের অধিকাংশকে রাতে হত্যা করা হয়।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবপার্টি সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বেপারী, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ–সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, উদ্যােক্তা ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সহ–সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, আন্তর্জাতিক কমিটি সদস্য হাজেরা মেহেজাবীন, সহ–দপ্তর সম্পাদক শরন চৌধুরী, আবদুল হালিম নান্নু, মশিউর রহমান মিলু মহানগর দক্ষিণ যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাশার, আহমেদ বারকাজ, পল্টন থানা আহবায়ক আবদুল কাদের মুন্সীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এসএ