প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ বিদ্যমান, তবে তাদের মধ্যে কিছু সাপের বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রাণঘাতী। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য বিষধর সাপ এবং তাদের বিষের তীব্রতা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. ইনল্যান্ড টাইপান
ইনল্যান্ড টাইপান বা ফিয়ার্স স্নেক যা পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ হিসেবে স্বীকৃত। এক কামড়ে তার বিষ ১০০ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিষের প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্র, রক্ত এবং কোষক ধ্বংস হয়ে যায়।
২. ব্ল্যাক মাম্বা
আফ্রিকার ব্ল্যাক মাম্বা তার দ্রুততা এবং অত্যন্ত বিষাক্ত কামড়ের জন্য পরিচিত। এক কামড়ে প্রচুর বিষ নিঃসরণ করতে সক্ষম, যা দ্রুত স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ১০০%।
৩. কিং কোবরা
কিং কোবরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিষধর সাপ। তার বিষ নিউরোটক্সিক, যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে। কিং কোবরার কামড় প্রাণঘাতী হতে পারে যদি তা দ্রুত চিকিৎসা করা না হয়।
৪. ব্লু ক্রেইট
ব্লু ক্রেইট যেটি ভারতীয় ক্রেইট নামেও পরিচিত, তার বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী। এর বিষ স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে। তার কামড়ের ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।
৫. ফের ডি ল্যান্স
মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যায়। তার বিষ হেমোটক্সিক এবং সাইটোটক্সিক, যা রক্ত এবং কোষকে ধ্বংস করে। কামড়ের ফলে গুরুতর টিস্যু ক্ষতি এবং রক্তক্ষরণ হতে পারে।
৬. রাসেল ভাইপার
ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় সাধারণত পাওয়া যায়। তার বিষ হেমোটক্সিক এবং সাইটোটক্সিক, যা রক্তক্ষরণ, কিডনির সমস্যা এবং গুরুতর টিস্যু ক্ষতির কারণ হতে পারে। রাসেল ভাইপারের কামড়ের ফলে অনেক মানুষ মারা যায়।
৭. বেলচারস সি স্নেক
সামুদ্রিক সাপ হিসেবে পরিচিত বেলচারস সি স্নেকের বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী। বিষের প্রভাব: নিউরোটক্সিক, যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। যদিও এই সাপ খুব কম কামড়ায় এবং সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে না।
৮. সিংগাপুর ব্লু কোরাল স্নেক
সিংগাপুর ব্লু কোরাল স্নেকের বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী। বিষের প্রভাব স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং প্যারালাইসিস সৃষ্টি করতে পারে।
৯. তাইগার স্নেক
অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। তার বিষ নিউরোটক্সিক এবং হেমোটক্সিক, যা স্নায়ুতন্ত্র এবং রক্তকে আক্রমণ করে। কামড়ের ফলে গুরুতর শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
১০. মালায়ান ক্রেইট
মালায়ান ক্রেইটের বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী। বিষের প্রভাব: নিউরোটক্সিক, যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং প্যারালাইসিস সৃষ্টি করতে পারে।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ