রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবি করা নুরুল হক মোল্লা, যিনি নুরা পাগলা নামেও পরিচিত, তাঁর কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রেস উইং থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে সরকার এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গোয়ালন্দে নুরুল হক মোল্লা, যিনি নুরাল পাগলা নামেও পরিচিত, তাঁর কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায়। এই অমানবিক ও ঘৃণ্য কাজটি আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের আইন এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সভ্য সমাজের মৌলিক ভিত্তির ওপর সরাসরি আঘাত।
অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, এই ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং প্রতিটি মানুষের জীবনের পবিত্রতা, জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরেও রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়‘ উল্লেখ করে এতে বলা হয়, আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করছি যে এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হবে। যারা এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে দ্রুত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ঘৃণা ও সহিংসতাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করুন, সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন এবং ন্যায়বিচার ও মানবতার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলুন।
এর আগে শুক্রবার জুমা নামাজের পর ‘ইমান–আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে একদল ব্যক্তি গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল হকের দরবারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। একপর্যায়ে ২৩ আগস্ট মারা যাওয়া নুরুল হকের লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
এসএ