নারী সাফ জয়ের সুখ স্মৃতিটা এখনেও টগবগে এদেশের মানুষের হৃদয়ে। তবে যদি প্রশ্ন করা হয়, ছেলেদের সাফে বাংলাদেশ কবে জিতেছিলো শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা, তাহলে গুণতে হবে ক্যালেন্ডারের পাতা।
ঘরের মাঠে ২০০৩ সালে পেনাল্টি শ্যূট আউটে ব্যাকপেইনের মতো অসহ্য যন্ত্রণাকে বুকে চেপে, দারুণ সব সেভ দিয়ে মালদ্বীপকে হারিয়ে মাতৃভূমিকে জিতিয়েছিলেন প্রথম সাফ ট্রফি। অথচ ব্যাক পেইনের কারণে ম্যাচটিতে তার খেলার কথাই ছিলোনা। তিনি বাংলাদেশের সেরা তথা এশিয়ার বেস্ট গোলরক্ষকদের একজন আমিনুল হক।
কখনও ক্রিকেট বোর্ড, কখনও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, দেশের ৫৩টি ফেডারেশনে পরিবর্তনের ডাক নিয়ে অনেকের ভিড়ে পরিচিত মুখ আমিনুল হক। ২০১০ সালে ফুটবল ছেড়ে ব্যস্ত হয়েছেন রাজনীতিতে। বিগত স্বৈরাচার সরকারের অত্যাচারের শিকার হয়ে বেশিরভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন জেলখানার অন্ধকার ঘরে। তারপরও দমে যাননি তিনি। খোঁজ রেখেছেন ক্রীড়াঙ্গনের।
২১ বছর আগে দেশের ফুটবলের অবস্থান আর বর্তমান ফিফা রেঙ্কিংয়ের মধ্যে রয়েছে আকাশ–পাতাল ফারাক। এক সালাহউদ্দিনের ১৬ বছরের আধিপত্যে, ফুটবল এখন মৃতপ্রায় অবস্থা।
ছাত্র–জনতার হাত ধরে দেশের মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর এবার চলছে দেশ সংস্কারের কাজ। নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা, আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার‘র হাতধরে ক্রীড়াঙ্গনকেও নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর আহবান বাংলার এই বাজপাখি‘র।
কোনো ফেডারেশনের পদের জন্য নয়, রাজনীতিমুক্ত আর সক্রিয় ক্রীড়াঙ্গন গড়ার লক্ষ্যে সংস্কার দাবিতে সরব বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। বিসিবি‘র মতো দ্রুত বাফুফে‘র সংস্কারের সঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্তরা পদ ছেড়ে দিলেও তাদের বিচার চান তিনি।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতির জন্য কাজ করা এই গোলরক্ষক নিজে রাজনীতিবিদ হয়েও স্বপ্ন দেখেন রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গনের।
মোহাম্মদ হাসিব/এসএ/দীপ্ত সংবাদ