আর যেন কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে না আসে– সেই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘জনগণ যেন স্পষ্টভাবে অনুধাবন করতে পারে যে, নাগরিক হিসেবে তার সব সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত রয়েছে।‘
সোমবার (২১ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার কমিশনগুলো গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের অধিকার নিশ্চিত এবং দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠা করা। আর যেন কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে না আসে। পাশাপাশি জনগণ যেন অনুধাবন করতে পারে নাগরিক হিসেবে তার সকল অধিকার সুরক্ষিত আছে।
তিনি আরও বলেন, আর কেউ যেন গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়। মানুষ তার জীবনাচরণের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি না হয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
ফ্যাসিবাদী আমলের নিপীড়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে। যেন আমরা সকলে মিলে এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি কাউকে এ ধরণের অভিজ্ঞতার মধ্যে না যেতে হয়। সবাই যেন তাদের অধিকার ভোগ করতে পারেন।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, মানুষ যেন কথা বলতে পারেন, জীবনাচরণের ক্ষেত্রে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি না হয়। গুমের শিকার না হয়। বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার না হয়। অন্যায়ভানে নির্যাতিত না হয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে প্রত্যোককে তাদের অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
সভায় সংস্কারভিত্তিক পাঁচটি পৃথক কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির মহাসচিব জালাল আহমেদ এবং যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।
কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তির সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক কাঠামো একটি বাস্তবসম্মত, মানবিক ও অংশগ্রহণমূলক রূপরেখায় নির্মিত হয়।
আল