রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হলের কক্ষ ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী সালাউদ্দিন আম্মারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোবারক পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাইয়ুম মিয়া বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন– রাবি কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়কারী ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার, অর্থনীতি বিভাগের তোফায়েল আহমেদ তপু, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, আরবি বিভাগের মাহাদী হাসান মাহির, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের মাহাদী হাসান মারুফ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী সজিব, দর্শন বিভাগের আশিকুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শাহ পরান, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের দেওয়ান বাঁধন ও সিরামিকস বিভাগের তানভীর আহম্মেদ রিদম।
এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের মনিমুল হক, লোকপ্রশাসন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মেহেদি, অর্থনীতি বিভাগের আল মুহি ফেরদৌস, রসায়ন বিভাগের শাহরিয়ার পলাশ, ফার্মেসি বিভাগের মো. আনারুল। নগরীর মির্জাপুর এলাকার মো. নাঈম ও মো. হাসিবুল, বুধপাড়ার মো. হাবিবুর রহমান ও মো. আশিকুর রহমান তুহিন এবং কাজলার শাহরিয়ার আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও অনেকে।
মামলার এজাহারে ক্ষতির পরিমাণ সর্বমোট ২৭টি পুরাতন মোটরসাইকেল যার আনুমানিক মূল্য ৬৪ লাখ টাকা ও ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল এবং দুইটি ল্যাপটপ চুরি; যার মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে লাঠি হাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে প্রদক্ষিণের পর কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার কক্ষে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল, মাদার বখস্ হল, জিয়া হল, মতিহার হল ও শাহ মখদুম হলের অন্তত ২০টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে কক্ষগুলোতে থাকা জিনিসপত্র বাইরে বের করে পুড়িয়ে দিতে দেখা যায়।
এ সময় ছাত্রলীগের হল কক্ষগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেয় আন্দোলনকারীরা।
আদনান/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ