ওএসডি‘র (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) পর ইতিমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় পড়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম উর্মি।
ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনার জন্ম দেবার পর থেকেই অনেকেই প্রশ্ন করছেন কে এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি?
তাপসী তাবাসসুম উর্মি নেত্রকোনা, পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে উর্মি সবার বড়।
উর্মি‘র বাবা ময়মনসিংহ আনন্দমোহন সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করতেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল।
তিনি জানান, গ্রামের বাড়ি নসিবপুর হলেও ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহে থাকেন। মাঝে মধ্যে তারা নসিবপুর আসেন।
উর্মির বাবা ইসমাইল হোসেনের প্রতিবেশী স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিম উদ্দিন জানান, তাপসী কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে সে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে তাপসী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে।’ পরে তিনি বলেন, এ বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশকিছু পোস্টও করেছেন। একটি স্ট্যাটাসে তিনি ছাত্র আন্দোলনের নিহত শহীদ আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন।
এসএ