কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বাউলদের সাধু সঙ্গে হামলার ঘটনায়, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। যাদের মারধর করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৯০ বছরের বৃদ্ধও রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি ভুক্তভোগীদের। এভাবেই অমানবিক হামলার বর্ননা দিলেন আহতরা। হামলাকারীদের হাত থেকে রেহায় পাননি ৯০ বছরের সাধুও।
প্রতিবছর নিজ বাড়িতে ঘরোয়াভাবে সাধুসঙ্গের আয়োজন করেন লাউবাড়িয়া গ্রামের পলান ফকির। এতে বিভিন্ন এলাকার বাউল, সাধু, লালনভক্ত ও অনুসারীরা যোগ দেন। সাধুদের অভিযোগ, ৫ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে হঠাৎ বাড়িটির চারপাশে কিছু লোক ঘিরে ফেলে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এরপর বাড়িতে ঢুকে বাউলদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে তারা। আহত হন ৯ জন।
তবে অভিযুক্ত একরাম হোসেনের পরিবারের দাবি, গত ৩ বছর ধরে ওই এলাকায় সাধুসঙ্গ বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ১৯ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়েছে।
সাধুদের দাবি, সেখানে কোনো মাইক বা সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা হয়নি। কোনো বাদ্যযন্ত্র ছিল না, হয়নি গানবাজনাও। বিনা কারণেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।