চারদিকে সুনসান নিরবতা। নেই মানুষের কোলাহল। সৈকতে মানুষের আনাগোনা না থাকায় ডানা মেলেছে প্রকৃতি।
প্রায় ১৫ দিন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত জনমানব শূন্য থাকায় ডানা মেলেছে প্রকৃতি। বিভিন্ন স্থানে ফুটেছে গুল্ম লতার ফুল। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে সাদা ঝিনুকের ছড়াছড়ি। বেড়েছে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। তাই ঈদের পরে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা প্রকৃতির এ নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
বন্ধ রয়েছে সকল খাবার হোটেল, ফুসকা ও ফ্রাইর দোকান। বেশির ভাগ হোটেল মোটলের কক্ষ ফাঁকা রয়েছে। অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে ছাতা বেঞ্চি। নেই কোন ঘোড়া, মোটরসাইকেল কিংবা ওয়াটার বাইক। নেই কোন মানুষের হাকডাক। দেখে মনে হবে যেন বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।
প্রথম রমজান থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ায় এমন দৃশ্য সূর্যদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের। এতে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদের দিন থেকে পর্যটক বাড়ার আশা ব্যবসায়ীদের। তাই অনেকেই নতুন করে সাজাচ্ছেন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যটক শূন্য থাকলেও যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্যুরিষ্ট পুলিশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
ঈদের দিন থেকে লক্ষাধিক দেশী বিদেশী পর্যটকের আগমনে লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবে ব্যবসায়ীরা এমন প্রত্যাশা সকলের।
আফ/দীপ্ত সংবাদ