কুমিল্লায় স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে সাতটি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর লাইসেন্সবিহীন কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরো দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দুটি সংশোধনের জন্য সতর্ক করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) কুমিল্লা সদর উপজেলার মোট ১১ টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শক টিম।
যে ৭ টি প্রতিষ্ঠানের সেবা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এগুলো হলো সদর উপজেলার আমতলী এলাকার মডার্ন ডায়গনস্টিক, ঝাগুরঝুলির গ্রামীন কল্যান স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কুচাইতলী সিটিস্ক্যান ও মেডিকেল সার্ভিস, শাসনগাছা এলাকার মেডিস্ক্যান ডিজিটাল ডায়গনস্টিক এবং বারপাড়া এলাকার এলেমজান মেডিক্যাল সেন্টার ও ডক্টরস কেয়ার হসপিটাল।
অভিযানে গিয়ে আসাদ আলট্রাসনোগ্রাফি ও আফিয়া মেডিকেল হল ফিজিওথেরাপি নামে দু‘টি প্রতিষ্ঠান তালাবন্ধ পায় পরিদর্শকেরা। এছাড়া আরো ২ টি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত ত্রুটি সংশোধন করার জন্য সতর্ক করা হয়।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বন্ধের নির্দেশ দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন করে লাইসেন্স হাতে না পেয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়া তারা অনেক অননুমোদিত পরীক্ষা কার্যক্রম চালানোসহ নানান অনিয়ম করে আসছিলো। তাই ৭ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সের শর্তপূরণ না করা পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরিদর্শক টিমের সদস্য কুমিল্লা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রসেনজিৎ সাহা শুভ জানান, রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসকদেরও উচিত কোন ক্লিনিক বা ডায়গনস্টিক সেন্টারে কার্যক্রম পরিচালনা আগে সেটি বৈধ কি না জেনে নেয়া।
আল / দীপ্ত সংবাদ