এ বছর কুমিল্লায় কোরবানির পশু বেচাকেনায় স্থায়ী–অস্থায়ী ৪৩০টি হাট বসবে। ইজারা কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে স্থায়ী হাটে কিছু পশুর দেখা মিললেও অস্থায়ী হাটগুলো একেবারে শুন্য। তবে চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে অস্থায়ী হাটগুলোতেও গরু উঠার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এদিকে, স্থায়ী হাটে ক্রেতা–বিক্রেতার উপস্থিতিতে বাজার সমাগম হতে শুরু করেছে। খামারগুলো গরুতে ভরা। কমবেশি বেচাকেনাও চলছে। তবে বাজারে পশুর দর যাচাইয়ে লেগে আছে ক্রেতার আনাগোনা।
কুমিল্লার সবচাইতে বড় কয়েকটি স্থায়ী হাটের মধ্যে সুয়াগাজী পশুর হাট একটি। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের এ হাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারীরা গরু বিক্রির জন্য আসেন এখানে। কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসার ২০/২২দিন আগে থেকেই দেশি–বিদেশি গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশু কেনাবেচায় সরগরম হয়ে উঠে ক্রেতা–বিক্রেতায়। বাজার ছাড়িয়ে সড়কের দুই পাশের এক–দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে পশুর হাট।
তবে, এবছর সেই চিত্র একেবারে উল্টো। স্থায়ী এ হাটে আশপাশের জেলা থেকে ব্যাপারীরা কিছু গরু নিয়ে আসলেও এখনো খালি বেশিরভাগ খুঁটি। দর যাচাই করতে আসছেন কিছু ক্রেতা। এবার গরুর বাজার চড়া হবে বলে ধারণা তাদের। এ হাটে যতগুলো গরু দেখা গেছে তার একটি অংশই ভারতীয় গরুর। এভাবে ভারতীয় গরু ঢুকলে দাম কমতে পারে বলছেন আবদুর রহমান ও আবুল বাশার রানাসহ বেশ কয়েকজন ব্যাপারী।
ইতোমধ্যে জেলার এ সব পশুর হাটের ইজারা সম্পূর্ণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অস্থায়ী হাটগুলো চাঁদ ওঠার অপেক্ষায় থাকলেও স্থায়ী হাট গুলোতে পশু তুলছেন ব্যাপারীরা। বাজারের তুলনায় কুমিল্লায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন পশুর খামারগুলোর চিত্র একেবারে ভিন্ন। যেখানে বছরজুড়ে লালন পালন করা গরুর ছড়াছড়ি। অনলাইনে এবং সরাসরি পশু বেচাকেনা চলছে কম–বেশি।
কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার জানান, খাবার এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় বাড়তি থাকায় বাজারে পশুর দর কিছুটা চড়া থাকবে। তবে সেটি অতিরিক্ত না। এবার বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনলাইন এবং সরাসরি খামারেই পশু বিক্রি হবে।
উল্লেখ্য, এবছর জেলায় উৎপাদিত পশুর যোগান ছাড়িয়েছে চাহিদাকে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে সাড়ে আট হাজারের বেশি পশু। কুমিল্লায় দুই লাখ ২১ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। বিপরীতে প্রস্তুতকৃত পশুর যোগান রয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার।
শাকিল মোল্লা/পূর্ণ/দীপ্ত নিউজ