শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীতের তীব্রতা একটুও কমেনি। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসের দাপটে শীতকষ্টে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত দুদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এর আগে বুধবার তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কনকনে ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, কারণ দিনের বেলা সূর্যের কোনো উত্তাপ নেই এবং হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা আরও তীব্র অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে শীত নিবারণে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তা বিতরণ চলমান।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দেড় মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। এই মাসের মধ্যে ২ থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।