কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অন্যদিকে, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্লাবিত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামে রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে ৫ শতাধিক হেক্টর জমির আমন, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। চরাঞ্চলের ঘর–বাড়িতে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত দেড় হাজার পরিবার।
ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কবলিতরা। এসব এলাকার রাস্তা–ঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে।