চলমান কারফিউ আরও শিথিল করেছে সরকার। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের পরিস্থিতি। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও কারফিউ জারির কারণে রবিবার(২১ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার(২৩ জুলাই) সরকারি–বেসরকারি অফিসে ছিল সাধারণ ছুটি। টানা তিন দিন পর আজ আংশিকভাবে খুলছে দেশের সব সরকারি, আধা–সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। তৈরি পোশাক কারখানাও খুলবে এদিন।
আজ বুধবার(২৪ জুলাই) ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার(২৫ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে অফিস। ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের লেনদেনও চলবে একই সময় পর্যন্ত।
দু’দিনের জন্য এ অফিস সূচি নির্ধারণ করেছে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে সারাদেশে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কিছু ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে। কোন কোনে শাখা খোলা থাকবে তা নিজ নিজ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়া, বুধ ও বৃহস্পতিবার আদালতের কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে বিচারকাজ চলবে।
পোশাক কারখানায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ। তাদেরকে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করবে। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাসায় বিজিএমইএ নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
এদিকে, অফিস–আদালত খুলে দেওয়া হলেও সারাদেশে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকার থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী চলমান কারফিউর বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ জুলাই) ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ চলবে। তবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া, বাকি জেলাগুলোর কারফিউর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে সরকার গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে কারফিউ জারি এবং দেশজুড়ে মোতায়েন করে সেনাবাহিনী। আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতেই সারাদেশে বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট সেবা।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ