কানাডার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আগামী রোববার তাদের মরদেহ দেশে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ শ্রেয়া, আরিয়ান আলম দীপ্ত ও শাহরিয়ার খানের পরিবার এখন অপেক্ষায় আছে কবে তাঁদের প্রিয়জনের মরদেহ দেশে আনা হবে।
একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড় টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এরইমধ্যে দুটি অস্ত্রোপচার হয়েছে, জ্ঞান ফিরলে আরো একটি হবে এমনটিই জানিয়েছেন নিবিড়ের বাবা সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিত।
পড়াশোনার জন্য কানাডায় থাকেন নিবিড় কুমার। স্থানীয় সময় গত সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিন বন্ধুর সাথে গাড়ি নিয়ে বের হন তিনি। সাড়ে ১১টা নাগাদ টরন্টো হাইওয়ে ফোর টু সেভেন-এর দুনদাস স্ট্রিট ওয়েস্টে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়ি উল্টে যায়। গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন নিবিড়। তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ ও আরিয়ান দীপ্ত ঘটনাস্থরেই নিহত হন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হয়েছেন নিবিড়। তারা ৪ জনই হাম্বার কলেজের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
নিহত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খানের বাবা শরীফ খান গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুতের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। বিমানের একটি ফ্লাইটে আগামী রোববার তাঁদের মরদেহ দেশে আনার সম্ভাবনা আছে।’
এফএস/দীপ্ত